শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
লালমনিরহাটে তিনটি গ্রামকে মাদক মুক্ত এলাকা ঘোষণা করলো “শাহীন সচেতনতার প্লাটফর্ম” রূপগঞ্জে জলাবদ্ধতা নিরসনে বেদখল সরকারি খাল উদ্ধার চুনারুঘসটে ভাগিনার হাতে মামা খুন ভোলাগঞ্জ পাথর লুট ও টাঙ্গুয়ার হাওরে অপরিকল্পিত পর্যটনের প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে সমাবেশ চাঁদাবাজিতে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই: আসিফ মাহমুদ বীমা আইন লংঘন করে তাকাফুলে একই পরিবারের তিন পরিচালক নন-লাইফ বীমা খাতের উন্নয়ন বিষয়ক কিছু ভাবনা শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দ্বিগুণ হচ্ছে এক হাজার ৩২২ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস করল বিজিবি জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ অর্থ সংকটে হচ্ছে না চিকিৎসা

মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ অর্থ সংকটে হচ্ছে না চিকিৎসা

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ ১৯৭১ সালে দেশ ও মাতৃকার জন্য জীবন বাজী রেখে অস্ত্র হাতে যুদ্ধে জয়ী হলেও জীবনযুদ্ধে এক পরাজিত সৈনিক আব্দুল লতিফ। অর্থ সংকটে পড়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা চলছে যুদ্ধাহত অকোতভয় সৈনিক। বিভিন্ন মানুষের সহানুভুতিতে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হলেও অর্থ সংকটে পুরোপুরো চিকিৎসা হচ্চে না আব্দুল লতিফের। এ নিয়ে তার পরিবার পরিজনদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের আলাবক্সপুর গ্রামের মৃত আলতাম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল লতিফ যুবক বয়সে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দেশকে শত্র“ মুক্ত করতে ঝাপিয়ে পড়েন রণাঙ্গনে। যুদ্ধক্ষেত্রে পাক বাহিনীর গুলিতে পায়ে আঘাতে তিনি এখনও এ ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি যুদ্ধাহত হলেও সাধারণ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা পান। মুক্তিযুদ্ধের পর স্থানীয় বাজারে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পান বিড়ির দোকান দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কোন রকমে জীবন যাপন করতেন। মুক্তিযোদ্ধা আঃ লতিফের স্ত্রী জায়েদা খাতুন আক্ষেপ করে বলেন, যুদ্ধ ক্ষেত্রে আহত আব্দুল লতিফের বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন রোগবালাই তার শরীরে বাসা বাধে। অর্থ সংকটে যথাযথ চিকিৎসা করতে না পারায় দিন দিন তার শরীর আরো দুর্বল হতে থাকে। স্ত্রী ও ১ মেয়ে ২ ছেলে সহ ৫ জনের সংসার। ৩ ছেলেমেয়ে চৌমুহনী স্কুল এন্ড কলেজে পড়াশুনা করে। কিন্তু মাস খানেক আগে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ধার দেনা করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু তার চিকিৎসায় অনেক টাকার প্রয়োজন। পরিবারের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসা চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। মাধবপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মধু মিয়া বলেন, আব্দুল লতিফ একজন অসহায়, ভুমিহীন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। তার চিকিৎসায় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে আসার জন্য মুক্তিযোদ্ধার পক্ষ থেকে দাবি করছি।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com